কিভাবে ইউটিউবে শর্ট ভিডিও তৈরি করে টাকা ইনকাম করা যায়? 

ইউটিউবে ভিডিও ভিউস বাড়ানোর উপায়

টিকটক আসার পরে আমরা একটা জিনিস বুঝতে পেড়েছি যে অল্প কিছু সময় এর মধ্যে মানুষ কিভাবে আনন্দ পায়। টিকটক এর ছোট ছোট ভিডিও গুলো আমরা কিন্তু অনেক বেশি পরিমানে দেখছি। তার কারনে ভিডিও গুলো বেশি বেশি ভিউজ পাচ্ছে । টিকটিক এর পাশাপাশি এখন  ইউটিউব,  ইন্সট্রাগ্রাম এরা তাদের নতুন প্লাটফর্ম লঞ্জ করে দিল। ইউটিউব শর্টস নিয়ে আসলো এবং ইন্সট্রাগ্রাম রিলস ভিডিও নিয়ে আসলো। এই আর্টিকেল থেকে আমরা জানবো, কিভাবে ইউটিউবে শর্ট ভিডিও তৈরি করে টাকা ইনকাম করা যায়? 

ইউটিউব যেহেতু অনেক বড় একটি ভিডিও প্লাটফর্ম সেহেতু ইউটিউব ভাবছে ক্রিয়েটরদের কিছু পরিমান অর্থ দেয়ার প্রয়োজন আছে। তাহলে কিন্তু ক্রিয়েটররা শর্ট ভিডিও করার জন্য বেশি আকর্ষণ দেখাবে। এবং কোনো যখন কোন প্রোডাক্ট লঞ্চ করে তখন তারা বেশি পরিমাণে প্রমোশন করায় একারণে আমরা যদি কোনো শর্ট  ভিডিও পোস্ট করি এটার কিন্তু বেশি রিচ হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

কিভাবে ইউটিউবে শর্ট ভিডিও তৈরি করে টাকা ইনকাম করা যায়? 

ইউটিউবে যারা শর্ট ভিডিও তৈরি করে তাদের জন্য একটি ফান্ড তৈরি করা হয়েছে যেখানে ১০০ মিলিয়ন একটি এমাউন্ট ধার্য্য করা হয়েছে যেটা যারা শর্ট ভিডিও তৈরি করে তাদের কে দেয়া হবে। এটা দেয়া শুরু হয়ে গেছে কয়েক মাস হলো ইউটিউব এ টাকা টা দিচ্ছে। এটা কিভাবে দিচ্ছে তা হলো আপনি ধরুন ইউটিউব এ শর্ট ভিডিও তৈরি করলেন এবার সেই ভিডিও টা তে ১মিলিয়ন, ২মিলিয়ন, ৩মিলিয়ন এমন অনেক ভিউজ আসলো তো আপনি আরও কিছু ভিডিও বানালেন। মাসের শেষে ইউটিউব আপনাকে ধার্য্য করলো আপনার ভালো পরিমাণ ভিউজ আসছে সে কারণে একটা রিওয়ার্ড হিসেবে ইমেইল এর মাধ্যমে আপনাকে পাঠাবে যেখানে লিখা থাকবে আপনি একটি শর্টস বোনাস পেয়েছেন। সেখানে একটা ডলার লিখা আসবে সেটাকে আপনি ক্লেইম করবেন। ক্লেইম কমপ্লিট করার পর এডসেন্স একাউন্ট দেখাবে। যাদের এডসেন্স একাউন্ট নেই সেখানে একাউন্ট ওপেন করার অপশন থাকবে সেখানে আপনি একাউন্ট ওপেন করে নিতে পারবেন। এডসেন্স একাউন্ট ওপেন করে ক্লেইম করার পর ডলার টা আপনার একাউন্ট এ চলে যাবে। এবং মাসে ২১তারিখ থেকে ২৬ তারিখ এর মধ্যে টাকা টা আপনার ব্যাংক একাউন্ট এ চলে যাবে। এই টাকা টা কিন্তু ৭ লাখ পর্যন্ত পেতে পারেন।

অনেক ভালো ভালো চ্যানেল এ দেখবেন মোটিবেশন মূলক ভিডিও বানায় সেগুলো কিন্তু ভালো ভিউজ হচ্ছে। আপনার যেটাতে ইন্টারেস্ট সেটা নিয়ে কন্টেইন ভিডিও তৈরি করবেন এবং সেখানে  কিন্তু কিছু নিয়ম রয়েছে সেটা আপনাকে জানতে হবে  তা হল :

১. ১৮০ দিন এর মধ্যে আপনাকে একটি হলেও  শর্ট ভিডিও আপলোড দিতে হবে। আপনাকে রেগুলার ভিডিও দিতে হবে তাহলে ভাইরাল হবে। একটি ভিডিও দিয়ে ৬০ মাস দিলেন না তা কিন্তু হবে না। ১৮০ দিন এর মধ্যে একটি হলে দিতে হবে বলার কারণ হচ্ছে আপনার চ্যানেল টা যেন নষ্ট না হয়।

কিভাবে ইউটিউবে শর্ট ভিডিও তৈরি করে টাকা ইনকাম করা যায়? 

২. যে কন্টেন টা আপনি আপলোড দিয়েছেন সেটা আপনার নিজের কন্টেন হতে হবে।

৩.আপনার ভিডিও টা হরিজন্টাল হতে হবে। হরিজন্টাল বলতে ফোন টা লম্বা লম্বি হতে হবে। ফোন যেনো কাত করা না থাকে তাহলে কিন্তু ভিডিও ভালো হবে না।

৪. আপনাকে হেসট্যাগ শর্টস লিখতে হবে।

৫. ভিডিও টা ৬০ সেকেন্ড এর কম হতে হবে। ৬০ সেকেন্ড এর বেশি হওয়া যাবে না।

৬.আপনি কোনো কপিরাইট গান ইউজড করতে পারবেন না। ইউটিউবে যে অডিও লাইব্রেরি রয়েছে সেখান থেকে আপনি গান দিতে পারেন।

আপনার যেই জিনিস এর উপর ইন্ট্রেস সেই জিনিস নিয়ে কন্টেইন তৈরি করেতে হবে। সব থেকে বড় ব্যাপার এখানে সাবস্ক্রাইব এর কোনো লিমিটেশন নেই আপনারা কষ্ট করে করতে থাকুন। এটা করা কোনো ব্যাপার এ নয়। আপনি ৩০/৪০ সেকেন্ড করে একটি ভিডিও বানালে ও কিন্তু হয়ে যায়। অনেকে শর্ট ভিডিও সাথে সাথে ব্লগ ভিডিও তৈরি করছে ২মিনিট ৩মিনিট এর। এতে কি হচ্ছে ব্লগ গুলোতেও ভিউজ চলে আসছে। এতে আগের ওয়াচ টাইম ব্লগ এর ওয়াচ টাইম মিলিয়ে ভালো মনিটাইজেশন পেয়ে যাচ্ছে। এতে তারা মনিটাইজেশন থেকে ও টাকা পাচ্ছে শর্ট ভিডিও থেকে ও  টাকা পাচ্ছে। এভাবে আপনারাও ইনকাম করতে পারবেন।

আপনার জন্য আরো :

ইউটিউবে ভিডিও ভিউস বাড়ানোর উপায়

Leave a Reply

Your email address will not be published.